গল্প
মায়া-জোছনার রাতে – নিরঞ্জন মণ্ডল
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে বিছানায় উঠে বসে সেন্টু। দু’চোখে ঘুমের ঘোর তখনও কিছুটা জড়িয়ে। বিছানার পাশের জানালাটা আধখোলা। মধ্য-ফাল্গুনের নিশুতি রাতের হিমেল হাওয়া ঢুকছে জানালা গলে। সেই হাওয়াতেই বুঝি ঘরটাতে হাল্কা শীতের আমেজ।গায়ের মোটা চাদরটা তার কোলের উপর দলাপাকিয়ে। অন্ধকার ছোট্ট ঘরটা। কিন্তু খোলা জানালা গলে তার বিছানায় এসে পড়েছে উজ্জ্বল
মহাপ্রসাদ মহাভোগ – সুদামকৃষ্ণ মন্ডল
মহাপ্রসাদ মহাভোগ – সুদামকৃষ্ণ মন্ডল তিন বন্ধু যেখানে যায় একসাথে যায়। ঘরে বাইরে এত বন্ধুত্ব যে কেউ কাউকে ছাড়া থাকে না। স্কুলে পড়ার সময় তারা একই সাথে পড়ত, নদীতে সাঁতার কাটত, গাছে উঠে তেঁতুল পেড়ে খেতো এমনকি নদীর কিনারে বসে হড়কাও খেতো । বৈশাখ মাসে ভরদুপুরে আম গাছের তলায় তাদের
মামার বাড়ির ভূত – জয়নুল আবেদিন
মামার বাড়ির ভূত – জয়নুল আবেদিন ছোটবেলা থেকেই আমার গল্পের প্রতি ঝোঁক ছিল একটু বেশি। নানাবাড়ি গেলে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথেই ছোট মামাকে নিয়ে বসে যেতাম গল্পের আসরে। তখন নানার ঘরটি ছিল টিন দিয়ে তৈরি। আমি আর ছোট মামা বসে আছি খাটের মধ্যে। নিভু-নিভু হয়ে জ্বলছে হারিকেন। টিনের বেঁড়ার উপর
সত্তা – রফিকুল নাজিম
সত্তা – রফিকুল নাজিম ০১. -কি করছো, পিকুল? এখনো হয়নি তোমার? সেই কখন থেকে বলছি রেডি হও রেডি হও। আমার কথা তো তোমার কানেই যায় না। -সরি, নীরু। এই তো সোনা- হয়ে গেছে প্রায়। – তোমার হয়ে গেলে বাবাইকে কোলে নাও। শুনতে পাচ্ছো না কেমন কাঁদছে ছেলেটা? আচ্ছা, দেখো তো ও
অভাগিনীর অসমাপ্ত জীবন – প্রান্ত দত্ত
অভাগিনীর অসমাপ্ত জীবন – প্রান্ত দত্ত অপরূপ সৌন্দর্য্যে ঘেরা বৈচিত্র্যময় এই গ্রাম। সে গ্রামে জন্মগ্রহণ করে ফুটফুটে সুন্দর এক মেয়ে। নম্র-শান্তশিষ্ট ছিলো মেয়েটির স্বভাব। মেয়েটি ছিলো বড়ই দুখিনী। নাম ছিলো তার প্রীতিলতা। ডাক নাম ছিলো তার প্রীতি। তার বাবার পরিবারে অর্থ-বিত্ত জায়গা জমি যথেষ্ট পরিমাণ ছিল। কিন্তু সুখের পরিমানটা যথেষ্ট
অট্টহাসির কবল থেকে – আবু সাইদ কামাল
অট্টহাসির কবল থেকে – আবু সাইদ কামাল হেমন্তের বিকেল। ইশান দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। তার আব্বুও তখন বিছানায় শুয়ে একটা সাময়িকীতে চোখ বুলাচ্ছেন। তখন হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে উঠে।বাবা মোঠোফোনটা কানের কাছে নিয়ে বলেন, “হ্যালো!” হ্যালো মেঝো ভাই! আমি তাছলিমা। ও আচ্ছা। মেঝোভাই আমার বড় ননদের চোখের
বিরিশিরি ক্যাম্পে – আবু সাইদ কামাল
বিরিশিরি ক্যাম্পে – আবু সাইদ কামাল গ্রামের বাজারে চালের ক্ষুদে ব্যবসায়ী আছমত আলী। লিয়াকত আলী পরিবারের বড় ছেলে। সাধ ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। আইএ পাশ করার পর বাবা বলেন, আর তো পারতেছিনা রে লিয়াকত! এইবার একটা চাকরি-বাকরি দেখ। পরিবারে এতগুলো মুখ… লিয়াকত বুঝতে পারে তাঁর উচ্চশিক্ষা আর হবে না।
ওরা ক’জনের গল্প – উৎপলকান্তি বড়ুয়া
ওরা ক’জনের গল্প – উৎপলকান্তি বড়ুয়া ওরা তিনজন। থাকে একসাথে। ওরা ভাই বোন। দুই ভাই এক বোন। আচ্ছা, ওরা কারা? ওহ্ তাই তো! ওদের পরিচয় করিয়ে দেই। ওরা গ ল প। গ এবং প ভাই। ল বোন। গ এবং প -এর একমাত্র বোন ল। বড় আদরের বোন। ওরা খেলে একসাথে।
