শরৎ আসে
এ কে এম মোস্তফা
ভোর বেলাতে দূর্বা ঘাসে
শিশির তো নয় মু্ক্তো হাসে।
রোদ বৃষ্টির দুষ্ট খেলা
নীল আকাশে মেঘের ভেলা।
শুভ্র সাদা কাশের ফুল
কি অপরূপ নদীর কুল।
সবুজ ভরা আমন ক্ষেতে
দামাল হাওয়া ওঠে মেতে।
আঁধার কালো রাতের বেলা
আকাশ মাঝে তারার মেলা।
জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের হাসি
মনটা যেন হয় উদাসী।
শিউলি ফুলের মুগ্ধ ঘ্রাণে
পুলক জাগে সবার প্রাণে।
এমনি করে শরৎ আসে
ভাদ্র আশ্বিন দু’টি মাসে।
শরৎ
সফিউল্লাহ লিটন
শরৎ এলেই আকাশ জুড়ে
স্বপ্ন হাজার ভাসে
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
রোদপরীরা হাসে।
কাশের বনে ঢেউ খেলে যায়
একটু বাতাস পেলে
প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়
ডানা দুটি মেলে।
গাছে গাছে হাসনাহেনা
শাপলা ফোটে বিলে
পাকা তালের পিঠা-পায়েস
খাই যে সবাই মিলে।
সবুজ মাঠে আলোর নাচন
দেয় যে মনে দোলা
শরৎ হলো ঋতুর রাণী
যায় না তারে ভোলা।
শরৎ
শাহীন খান
মেঘ ভেসে যায় আকাশ নীলে
ডানা মেলে শঙ্খচিলে
গায় যে পাখি গান
ঝিরিঝিরি বইছে হাওয়া
ক্ষণটা যেন কাব্যে ছাওয়া
উথলে ওঠে প্রাণ!
পুকুর জলে হাঁসের কেলি
বকরা ওড়ে পাখনা মেলি
রাখাল ধরে সুর
চিলে কোঠায় মাদুর পেতে
মাতি আমি আনন্দেতে
দোলে যে রোদ্দুর।
মাছরাঙা আর দোয়েল পাখি
পরে কাজল রাঙ্গায় আঁখি
পানকৌড়ি দেয় ডুব।
শরৎ এলো আমার দেশে
দারুণ খুশির সেই আবেশে
মন থাকে না চুপ!
যখন শরৎ আসে
সুব্রত দাস
যখন শরৎ আসে,
রঙ বেরঙের “নাকচাবি” ফুল
ফোটে ঘাসে ঘাসে !
পেঁজা তুলোর উড়িয়ে আঁচল
মেঘফুলেরা ভাসে !!
যখন শরৎ আসে,
সাতশো খুশি ঢেউ খেলে যায়
পালক-শুভ্র কাশে !
টাকডুমা ডুম বাদ্যি ঢাকের
বাজবে আশেপাশে !!
যখন শরৎ আসে,
রৌদ্র সোনা ঝলমলিয়ে
সত্যি ভালোবাসে !
সাতচাঁপা ফুল টুপুর লুটোয়
এই আশ্বিন মাসে !!
শরৎ মানে
সামিউল ইসলাম
শরৎ মানে নীল গগণে
শুভ্র মেঘের ভেলা
ঝির বাতাসে নদীকূলে
কাশফুলেদের খেলা।
শরৎ মানে ফুল কাননে
জুঁই চামেলি বেলি
কদম,কেয়া,হাসনাহেনাও
দেয় যে পাপড়ি মেলি।
শরৎ মানে ফর্সা আকাশ
হালকা বৃষ্টি ঝরে
বড়ই স্বাদের তালের পিঠা
গাঁয়ের প্রতি ঘরে।শরৎ মানে
সামিউল ইসলাম
শরৎ মানে নীল গগণে
শুভ্র মেঘের ভেলা
ঝির বাতাসে নদীকূলে
কাশফুলেদের খেলা।
শরৎ মানে ফুল কাননে
জুঁই চামেলি বেলি
কদম,কেয়া,হাসনাহেনাও
দেয় যে পাপড়ি মেলি।
শরৎ মানে ফর্সা আকাশ
হালকা বৃষ্টি ঝরে
বড়ই স্বাদের তালের পিঠা
গাঁয়ের প্রতি ঘরে।
লেখা জমা দেওয়ার ফর্ম, বাঘের মাসি-নবারুন কান্তি বড়ুয়া, শিশুসাহিত্য